চুয়াডাঙ্গায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। শীতের আগমনীতে খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত তাঁরা। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত।
এবার কিছুটা আগেই জেলার গ্রামগুলোতে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠান্ডা। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি জেলার বিভিন্ন গ্রামে চোখে পড়ছে।
বিষ্ণুপুর গ্রামের গাছি আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরই খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে চার মাসের জন্য গাছ ইজারা নিই। গাছ ভেদে পাঁচ থেকে সাত কেজি করে খেজুরের গুড় দিয়ে দিই মালিকদের। তবে চাহিদা মতো খেজুর গাছ না পাওয়ায় রস কম হচ্ছে। এতে আশানুরূপ গুড় তৈরি করতে পারি না। তারপরও এ বছর প্রায় দুই শটির বেশি খেজুর গাছের মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি। তবে যেভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে তাতে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না।’
অন্যান্য গাছিরা জানান, বর্তমান বাজারে আখের গুড় ও চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আশা করছেন তাঁরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেওয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পায়।