নোয়াখালীতে বাস, রিকশাশ্রমিক, বেদে ও জেলে সম্প্রদায়সহ ভাসমান জনগোষ্ঠীকে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১ হাজার ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীকে এক ডোজ জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার সকালে জেলা শহরের সোনাপুর বাস স্ট্যান্ডে এ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. শহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিনের একটি ডোজই দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে তাদের আর কোনো ডোজের প্রয়োজন হবে না। টিকাদান কার্যক্রমে দুটি বুথে কাজ করেন ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
জেলা সিভিল সার্জন ড. মাসুম ইফতেখার জানান, ভাসমান জনগোষ্ঠী যারা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে নিয়মিত টিকা দিতে পারেন না, তাদের এক ডোজের জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. শহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে যখন মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ছে, তখন বিশ্বের বড় বড় অন্য দেশের আগে বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ মানুষই টিকার আওতায় এসেছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, নিজেরা টিকা গ্রহণের পাশাপাশি আশপাশের ভ্রাম্যমাণ ব্যক্তিদেরও টিকা দিতে নিয়ে আসুন। ১২ বছরের বেশি বয়সী সবাই করোনার এ টিকা নিতে পারবেন।