জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সড়ক অবরোধ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫০ জন আহত হন। গতকাল সোমবার উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কালিতলা দোলভিটি, পোগলদিঘা ইউনিয়নের একুশে মোড় ও কামরাবাদ ইউনিয়নের কান্দারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (ফুটবল প্রতীক) লিটন মিয়া বিজয়ী হন। পরাজিত প্রার্থী (ভ্যানগাড়ি প্রতীক) আশিকুর রহমান নবনির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে লাল মিয়ার ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা দোলভিটি এলাকায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্য দিকে পোগলদিঘা ইউনিয়নের একুশের মোড় এলাকা পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী (ফুটবল প্রতীক) আব্দুল মালেক রাঙ্গা ও অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী (তালা প্রতীক) খোকন মিয়া নির্বাচনে পরাজিত হন। এই পরাজয়ে তাঁরা একে অপরকে দায়ী করেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সকালে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ দিকে কামরাবাদ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন (মোরগ প্রতীক) আব্দুর রৌফ দুখু। গতকাল সোমবার সকালে তাঁর একটি গরু ছিনিয়ে নেন পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী (তালা প্রতীক) মোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকেরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতরা সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক তিনটি স্থানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছে।’