সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের আঙ্গারুকা বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে চালকদের। আর ঝুঁকি নিয়েই এ পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে।
এটি সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলার সঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক। যার কারণে এ সড়কে ব্যস্ততা সবসময়ই। প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে পারাপার হয় শত শত যানবাহন। এই সেতুর প্রশস্ততা কম হওয়ায় পাশাপাশি দুটি যান চলাচল করতে পারে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির কয়েক জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে চালকদের। এ সড়কেই রয়েছে এ ধরনের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ও কালভার্ট। কয়েকজন জানালেন সাবেক সাংসদ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
ট্রাকচালক খালেদ মিয়া বলেন, ‘বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে এ ধরনের আরও কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ও কালভার্ট আছে। যেগুলো আমাদের ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হয়। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই আমরা ক্রেতাদের খরচ বাঁচাতেই অতিরিক্ত মালামাল বহন করি।’
মাইক্রোচালক আখতার মিয়া বলেন, আঙ্গারুকা সেতুটি শিগগির পুনর্নির্মাণ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পথচারী মিজান মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই এই সেতু দিয়ে যাওয়া-আসা করি। দুই উপজেলার মানুষের বেশির ভাগ সময় চলতে হয় এই সেতু দিয়ে। সেতুটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে সেতুটি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করার।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার থেকে বঞ্চিত এই সেতুটি এখন জনসাধারণের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জীবিকার তাগিদেই এসব গাড়ির চালকেরা এ সেতু ব্যবহার করেন। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, ‘সেতুটির পুনর্নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করছি, শিগগির দরপত্র আহ্বান করা যাবে।’