পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভারানি খালের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর স্লিপার ভেঙে মূল অবকাঠামো বেঁকে গিয়ে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
জানা যায়, উপজেলার ভারানি খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে লেবুখালী হাবিবুল্লাহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১১০০ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে। ভারানি খালের দুই পাশে রয়েছে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি নুরানি মাদ্রাসা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, রশি শিল্প। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়া ভারানি খালের পশ্চিম পাড়ে সেতু সংলগ্ন একটি বাজার রয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার হাট বসে। এলাকার মানুষজন মালপত্র বেচাকেনার জন্য এই ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে হাট-বাজারে যাতায়াত করেন। কিন্তু সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভয়ে ভয়ে সেতু পার হতে হয় তাঁদের।
দুমকি ইউএনও শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, ‘সেতুটি পুরোনো হওয়ায় আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় তীরে সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে এবং জনসাধারণ চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।’
লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও সময় বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। অতি দ্রুত নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি।’
উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সেতুটির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় স্কিম পাঠানো হয়েছে।’