জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহীদ আমিনুর রহমান খান বাপ্পীর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার এ উপলক্ষে পরিবার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল শোকযাত্রা, কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, গণভোজ ও দোয়া মাহফিল।
বাপ্পীর বাবা সাংসদ আতাউর রহমান খান বলেন, ‘১৮ বছরেও আমার সন্তান হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে সেটিও জানা নেই। আদরের সন্তান হারানোর শোক আজও বয়ে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একবার টাঙ্গাইলে আসেন। তখন তিনি বাপ্পী হত্যাকাণ্ডের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দেন। যত দিন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার না হবে, তত দিন পর্যন্ত এই হৃদয় শান্ত হবে না।’
মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকালে শহরের কলেজপাড়া এলাকা থেকে একটি শোকযাত্রা বের হয়। এটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মরহুমের কবরে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে কলেজপাড়া এলাকায় গরিব, অসহায়, দুস্থদের মধ্যে গণভোজ বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, সাংসদ আতাউর রহমান খান, সাবেক সাংসদ ও মরহুমের ভাই আমানুর রহমান খান রানা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাস আলী, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান লিটন, রেজাউর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াক আহমেদ রাজীব, শামীম আল মামুন, শাকিল, সোহেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর রাতে বাপ্পীকে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করে।