চান্দিনায় কিশোরী সালমা আক্তার হত্যা মামলায় বাবা সোলেমান ব্যাপারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দুপুরে তাঁদের গ্রেপ্তারের পর তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত কিশোরীর বাবা সোলেমান ব্যাপারী (৪৫) অসুস্থ থাকায় তাঁকে পুলিশি হেফাজতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই মামলার বাদী পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে সাতজনকে।
গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজন হলেন চান্দিনার কংগাই গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বাতেন (৫২), একই গ্রামের লোকমান হোসেন (৩৫) ও সফিউল্লাহ (৪২)। তাঁদের উপজেলার বসন্তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর চান্দিনার বসন্তপুর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে কিশোরী সালমা আক্তারের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নিহতের বাবা সোলেমান ব্যাপারী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে পুলিশের অনুসন্ধানে প্রতিপক্ষ ভাতিজাদের মামলায় ফাঁসাতে কিশোরী সালাম আক্তারকে তাঁর বাবা পরিকল্পিত ভাবে খুন করার ঘটনা উঠে আসে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরী সালমা হত্যার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে যে মামলা দায়ের করেছেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুজন দত্ত। মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের পর উপপরিদর্শক সুজন দত্ত বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।