‘সুনামগঞ্জে আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো ফসল রক্ষায় স্থায়ী বাঁধের একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে। যেকোনো সময় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটা অনুমোদন হতে পারে। এই প্রকল্পটি অনুমোদন হলে সুনামগঞ্জে আগাম বন্যার শঙ্কা আর থাকবে না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলায় ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণ ও মেরামত কাজ পরিদর্শন শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ব বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দার ভেতর। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন থেমে নেই। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের জিডিপি অনেক বেশি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরও আমরা থেমে নেই। আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতি এগিয়ে যাচ্ছে।’
সুনামগঞ্জের নদীগুলোর নাব্যতা সংকট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জেলার অভ্যন্তরে ১৪টি নদী খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নদী খনন শুরু হলে নাব্যতা সংকটের সমস্যা আর থাকবে না। নদী খনন হলে আগাম বন্যার হাত থেকেও আমরা রক্ষা পাব।’
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জামালগঞ্জের পাগনাও হাওর রক্ষায় দুটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং বাঁধের কাজে কোনো গাফিলতি যেন না করা হয় এ জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেন।
পরে ধর্মপাশা উপজেলার শয়তানখালি ও গজারিয়া হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণ ও মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী সাংসদ শামীমা আক্তার খানম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন পাউবো সিলেটের প্রধান (উত্তর পূর্বাঞ্চল) প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম, পাউবো সিলেট সার্কেল-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পাউবো নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, মো. শামসুদ্দোহা প্রমুখ।