চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার ১৩ দিন পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মিলল সিলমারা ব্যালট পেপারের একটি বইয়ের মুড়ি। গতকাল শনিবার বাসাইল ইউনিয়নের কুন্দরীয়া হাজী ভাসানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ৩০ ফুটের ভেতরে এটি পাওয়া যায়। এলাকাবাসী দেখে থানায় খবর দেন।
এলিভেটেড রেললাইনের চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাহারাদার মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এই স্থানে একটি অটোরিকশা এসে থামে। পরে রাস্তার নিচে একজন প্রস্রাব করতে নামলে ব্যালট পেপারের বইয়ের মুড়ি পড়ে থাকতে দেখে আমাদের ডাকেন। আমি এসে দেখি সেখানে একটি বইয়ের মুড়ি পড়ে রয়েছে।’
মো. জমির আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দেখে পাহারাদারকে ডেকে দেখাই। পরে থানায় খবর দিই। থানা থেকে আমাকে বলছে, আপনি সচেতন নাগরিক, কাউকে নিয়ে এটা থানাতে এসে জমা দেন। যদি কোনো কিছু হয়, সে জন্য আমি আর এটা ধরি নাই। পরে আপনাদের খবর দিয়েছি।’
বাসাইল ইউপির আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুজ্জামান পনির বলেন, ‘এই কেন্দ্রে ভোটের দিন বিকেলের দিকে ৪ ঘণ্টা ঝগড়া-মারামারি হয়। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সব কর্মকর্তাকে রুমে আটকে রাখা হয়। পরে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানালে তাঁরা পুলিশ পাঠিয়ে উদ্ধার করেন। আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ৭৪ ভোটে ফেল করানো হয়েছে। আমি ভোট পূর্ণ গণনার দাবি জানিয়েছি। আর আজকে ১৩ দিন পর ব্যালট পেপারের বইয়ের মুড়ি পাওয়া গেল এটা একটি দুঃখজনক।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. খোকন মিয়া বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু নির্বাচনে ১৩ দিন পর ব্যালট পেপারের বইয়ের মুড়ি পাওয়া গেল কী করে আমি জানি না।’