ইউএস ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় দেড় মাস পর। গতকাল এক ডলার বাংলাদেশি ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার মূল্য শনিবার পর্যন্ত ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। আর আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে ব্যয় হচ্ছে ৮৬ টাকা। যদিও ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে আরও বাড়তি দামে। আর ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার তথা কার্ব মার্কেটে এক ডলার ৯১ থেকে ৯২ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে বিদায়ী বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। পরে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে নভেম্বরে ডলারের দাম বেড়ে ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা হয়। পরবর্তী সময়ে দেড় মাস একই অবস্থানে থাকার পর তা বেড়ে ৮৬ টাকা হয়, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, দেশে পণ্য আমদানি বেড়েছে। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো আয় তথা রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় চাহিদার তুলনায় খুব একটা বাড়েনি। ফলে আমদানি ব্যয় পরিশোধে বাড়তি ডলারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে টান পড়েছে। যে কারণে টাকার বিপরীতে বাড়ছে ডলারের দাম। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, যখন বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বেশি ছিল তখন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রি করছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৫০ কোটি ডলার ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।