মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়ে বেকার জেলেদের জন্য বরাদ্দের চালে তিন থেকে পাঁচ কেজি করে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তির স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দিকে। কিন্তু তাঁরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, বরাদ্দকৃত চাল আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পরিবহন ভাড়া দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া বস্তায় সঠিক পরিমাণ চাল থাকে না এজন্য কিছু পরিমাণ চাল কম দেওয়া হয়েছে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশের মতো চারঘাটের পদ্মা নদীতেও মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। চলতি মাসের ৪ তারিখ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা আজ সোমবার রাতে শেষ হতে যাচ্ছে। এ সময় সরকার উপজেলার ৫৭০ জন জেলের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছেন।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কার্ডপ্রাপ্ত মোট জেলের সংখ্যা ১ হাজার ১৪৯ জন। এঁদের মধ্যে পৌরসভায় ১৯৮ জন, ইউসুফপুর ইউনিয়নে ১২৪ জন, সরদহ ইউনিয়নে ৮০ জন ও সদর ইউনিয়নে ১৬৮ জনসহ সর্বমোট ৫৭০ জন নিবন্ধিত জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের জেলে মোজাম্মেল হক বলেন, এমনিতেই সংসার চলে না তাঁর। তার ওপর আবার ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ১৫ কেজি চাল পেয়েছেন।
জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ইচ্ছে করে কম দিচ্ছি বিষয়টি সে রকম নয়। বরাদ্দের চাল আনার জন্য একটা খরচ আছে। এ ছাড়া বস্তাতে চালও কম থাকে। এজন্য ভাগ করে দিতে গেলে জেলেরা চাল কম পাচ্ছেন। তাতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কেজি করে চাল পাবেন তাঁরা।’
এ বিষয়ে চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক বলেন, জেলের তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কম। যতটুকু বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা সব বেকার জেলেদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লাহ বলেন, জেলেদের চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জেলেপ্রতি ২০ কেজি করে চালের বরাদ্দ ইউপি চেয়ারম্যানদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।