হোম > ছাপা সংস্করণ

লাইনচ্যুত ট্রেনটি যেভাবে সঠিক ট্র্যাকে প্রতিস্থাপিত হবে

মোনায়েম সরকার

প্রথমেই একটু ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করছি। আমি গত শতকের ষাটের দশকের শুরু থেকেই দেশের রাজনীতির একজন প্রত্যক্ষদর্শী। নিজে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থেকে আমি রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন কাছ থেকে দেখেছি। এখন রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় না থাকলেও প্রতিদিন দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পাঠ করে দেশ-বিদেশের সব খবরাখবর জানা-বোঝার চেষ্টা করি। আমি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলতে পারি যে আমরা এখন সত্যি একটি বিশেষ সময় অতিক্রম করছি। চোখ কান খোলা রেখে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যে সম্ভাবনাময় অবস্থানে রয়েছে, তা থেকে ছিটকে যেতে পারে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতি এখন পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর পরস্পরবিরোধী আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে ওঠার আশঙ্কাই করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে। টানা তিন মেয়াদ পূর্ণ করে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার আশা করছে দলটি। আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি চাইছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে নিজেরা ক্ষমতায় যেতে। বিতর্ক শুরু হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে। বিএনপি মনে করে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এই দাবি সংবিধানসম্মত না হওয়ায় আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনেই। সরকারপক্ষ কোনো ছাড় না দিয়ে এই অবস্থানে অটল থাকলে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য দলটির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বিভিন্ন মহল থেকে বলা হলেও আওয়ামী লীগ যে আলোচনায় আগ্রহী নয়, সেটা স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য থেকে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারকে ‘খুনি পরিবার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এ দেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলের সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

 ‘খুনি’দের দলের সঙ্গে আলোচনা হয় কী করে? এখন কেউ যদি বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতি জনসমর্থনও আছে। তো এই দলকে খুনির দল বলে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেননি, তাহলে তার সঙ্গে তর্ক করা অনর্থক। শেখ হাসিনা যেটা বলেছেন, তা সঠিক এবং যুক্তিসংগত। আর যাঁরা এটাকে সঠিক মনে করছেন না, তাঁরা কি যুক্তির ধার ধারছেন? বিএনপির জনসমর্থন আছে বলেই এই দলের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা-খুনের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি কোনোভাবেই কল্পনাপ্রসূত নয়। আর ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও তার মিত্রদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত। অথচ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার জন্য অনুতপ্ত না হয়ে, দুঃখ প্রকাশ না করে এবারও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২১ আগস্টের ঘটনাকে আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করেছেন।

মির্জা ফখরুলকে অনেকে একজন সজ্জন ব্যক্তি বলে মনে করেন। অথচ তিনি যখন কুজনের মতো উক্তি করেন, তখন আর বিস্ময়ের শেষ থাকে না। যে ঘটনায় শেখ হাসিনার প্রাণনাশ হতে পারত, যে ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, সে ঘটনাকে যিনি সাজানো নাটক বলতে পারেন, তিনি কীভাবে সজ্জন হতে পারেন?

এই পর্যায়ে আলোচনায় আমি আমার প্রিয়ভাজন দুজন সাংবাদিকের বক্তব্য উদ্ধৃত করতে চাই। হাসান মামুন তাঁর একটি লেখায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে লিখেছেন: 

‘স্বাধীন দেশে আমরা কেন সুষ্ঠু নির্বাচনের বিধিব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলাম? এ ক্ষেত্রে শুধু সেনাশাসকদের দায়ী করে পার পাওয়া যাবে না। নির্বাচিত সরকারের আমলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিধিব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে।

সুষ্ঠু ভোট অবশ্যই জনগণের জন্য জরুরি। সে জন্যই তো এর উপযুক্ত বিধিব্যবস্থা গড়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। আর গোলেমালে তার ব্যবস্থা হলেও সুযোগ পেয়ে সব পক্ষই কমবেশি ওটা বানচাল করতে চেয়েছে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা নিয়ে অবশ্য গর্ব করার কিছু নেই। এটা আমাদের রাজনীতিকদের ব্যর্থতারই প্রকাশ। তা সত্ত্বেও ওটা ছিল জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের রক্ষাকবচ। পরে যেভাবেই হোক, সেটা উচ্ছেদ করে বিরোধী দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সেতুটাই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বললে কি ভুল হবে?

সুষ্ঠু ভোটে আসলে কী অর্জন করি? জবাব তো সহজ, জনগণের সম্মতিতে সরকার। এ ধরনের সরকার যে সুশাসন দেবেই—তেমন নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। তবে সুষ্ঠু ভোট থাকলে এ নিশ্চয়তা অন্তত থাকবে, জনগণ নির্দিষ্ট সময় পর তাকে বিদায় করতে পারবে। সে ভয়েও সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনায় সরকারটি আগ্রহী হবে না–তা কিন্তু বলা যায় না।’

হাসান মামুনের বক্তব্যের জবাবে কিছু কথা লিখেছেন আরেক সাংবাদিক মাহবুব কামাল। তিনি লিখেছেন:

‘কথা হচ্ছে, বলা যাবে না কেন? অবশ্যই বলা যাবে। আমাদের চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি যা, তাতে নির্বাচিত সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করবে না। ২০০১ ও ২০০৮ সালের সুষ্ঠু নির্বাচনে যে দুটি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তারা সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার পরিবর্তে বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে পরবর্তী নির্বাচনে তাদের কীভাবে ঠেকিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টাই করেছে। একদল নগ্নভাবে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে, আরেক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে কাজটা করেছে কৌশলে। এমনকি ১৯৯১ সালে গঠিত সরকার মাগুরার একটি উপনির্বাচনে হারলে ক্ষমতা চলে যাবে না জানা সত্ত্বেও সেই নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি করেছে। আর ১৯৯৬ সালে গঠিত নির্বাচিত সরকার বিরোধী দলকে ঠ্যাঙ্গাতে গডফাদার সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। হ্যাঁ, এমনটি আর হবে না, এমন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কথাবার্তা আমাদের স্পষ্ট বার্তা দেয়। ১৯৫৪ কিংবা ১৯৭০ সালের সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ বর্তমান বাংলাদেশে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। বুড়িগঙ্গায় গড়িয়ে গেছে অনেক জল।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে এক পাল্লায় উঠিয়ে মাপার একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। আমি মনে করি, একটি দীর্ঘ ও কঠিন রাজনৈতিক সংগ্রাম, বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং সর্বোপরি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ৫০ বছরের ব্যবধানে কেন আজকের অবস্থায় এসে দাঁড়াল, তার কারণ খোঁজা মনে হয় খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি নির্মোহ মূল্যায়ন বর্তমানে সময়ের দাবি।

পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক এবং সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সর্বশেষ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার ছয় মাসের মধ্যেই তিনি দেশকে একটি আধুনিক সংবিধান দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানের মূলনীতি ছিল গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী কতিপয় দুর্বৃত্ত জাতির পিতাকে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মর্মমূলে আঘাত করল।

স্বাধীন বাঙালি জাতিকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যেতে প্রচেষ্টা চালাল। তারই ধারাবাহিকতায় একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানকে অঙ্গচ্ছেদ করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে আবার নির্বাসনে পাঠায়। গণতন্ত্রের বদলে আবার চালু করা হলো সামরিক স্বৈরশাসন। জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ আমাদের ঘাড়ে চেপে বসল। তাঁরা সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করল। অযাচিতভাবে ‘বিসমিল্লাহ’ সংবিধানে সংযোজন করে ধর্মভীরু মানুষকে স্বৈরশাসনের পক্ষে টানার অপচেষ্টা করল। পবিত্র ধর্ম ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা লোটার জন্য রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করল। ক্ষমতা ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেহিসেবি অর্থ ব্যয় করে জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর ও জামায়াতিদের এ দেশে রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিছু দলছুট আদর্শহীন, সুযোগসন্ধানী, হালুয়া-রুটিলোভী নেতা নিয়ে দল গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হয়েছে।

সামরিক একনায়কেরা দেশে এমন এক দুর্বৃত্তায়নের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে, যাতে ত্যাগী, ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলোও রাজনীতিতে টিকে থাকার কৌশল হিসেবে নানা পন্থা অবলম্বন করতে গিয়ে কলুষিত হয়। এখন রাজনীতি আর দেশপ্রেম হিসেবে বিবেচিত হয় না। রাজনীতি পরিণত হয়েছে ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে স্বল্পতম সময়ে এক-একজন হয়ে উঠছে আঙুল ফুলে কলাগাছ।

বহু ধর্ম, বর্ণের দেশে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক নীতির বদলে যদি ধর্মীয় জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্র থেকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তাহলে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের কথা ফাঁকা বুলি মাত্র। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত দেশ কখনো রাজাকারি আদর্শ দ্বারা উন্নয়ন, অগ্রগতি সম্ভব নয়। কাজেই এখন সময় এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ফিরে যাওয়ার। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রত্যাবর্তন করেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই লাইনচ্যুত ট্রেনটি সঠিক ট্র্যাকে প্রতিস্থাপিত হবে।

মোনায়েম সরকার, রাজনীতিক, লেখক; মহাপরিচালক, বিএফডিআর

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ