কাছুয়ানী বেওয়া সকালে বের হয়ে এবাড়ি ওবাড়ি ভিক্ষা করে যা পান, সন্ধ্যায় তা নিয়ে নিজের ঝুঁপড়িতে ফেরেন। এরপর কুপি জ্বালিয়ে দুমুঠো চাল সেদ্ধ করে খেয়ে শুয়ে পড়েন। সকাল হলে আবার বেরিয়ে পড়েন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
কাছুয়ানীর ঝুপড়ি ঘরটি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর বড়লই বাংলাবাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ওপর অবস্থিত। সম্প্রতি তাঁর ঝুপড়িসহ এমন অসহায় পরিবারগুলোর ঝুপড়ি ও চালাঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাউবো। এরই মধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে এসব স্থাপনা সরাতে হবে। এতে অসহায় বোধ করে কাছুয়ানী বলেন, ‘হামারগুলার তো কোনো জাগাজমি নাই। অ্যালা তোমায় কন হামরা কোনঠে থাইমো বাহে।’
পাউবোর নির্দেশের পর বিপাকে পড়েছেন বাঁধে বসবাসকারী কাছুয়ানীসহ ৫০ পরিবারের লোকজন। তাঁরা কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যারা পাউবোর বেড়িবাঁধে ঘরবাড়ি ও অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছেন তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে আমরা সেখানে বাঁধ সম্প্রসারণের কাজ শুরু করব।’