কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে লাঠিপেটা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ও বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে আসেন শহীদ মিনারে। তাঁরা পুষ্পস্তবক নিয়ে বেদির কাছাকাছি এলে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের পুষ্পস্তবকটি ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়। ওই সময় এক কর্মীকে থাপ্পড় দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, থাপ্পড় খেয়ে ওই ব্যক্তি পেছনের দিকে সরে যান।
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে সনজিত বলেন, ‘সংগঠনের স্বার্থে ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের শাসন করতে পারি। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কোনো আক্রোশ থেকে আমি এমনটা করিনি।’
একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. এহসানুল হক ইয়াসিরকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশির বিরুদ্ধে। ইয়াসির বলেন, ‘ধাক্কাধাক্কির সময় নিশি তাঁর মোবাইল দিয়ে আমার মাথার ওপর এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।’
নিশি বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখাগুলোর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বাঁশের লাঠি হাতে মারামারি করতে দেখা যায়।
সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে রিসিভ করেননি।