জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় আয় করা অর্থ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি দল। গতকাল বুধবার ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আবু তাহেরের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন নথিপত্র নিরীক্ষা করেন। তদন্ত দলের অপর দুই সদস্য হলেন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মোস্তাফিজার রহমান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগীর।
জাবিতে তদন্তের বিষয়ে অধ্যাপক তাহের বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি। তদন্তের জন্য হয়তো এখানে আর আসতে নাও হতে পারে। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’
জাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমাদের কাছে যা যা ডকুমেন্টস চেয়েছে তদন্তের সার্থে সব ধরনের ডকুমেন্টস তাঁদের দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আবু হাসান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলী রেজা প্রমুখ।
জাবি প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাতে আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনসহ অন্যান্য কাজে মোট ১২ কোটি টাকা ব্যয় হয়। অভিযোগ ওঠে, বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ইউজিসি জানায়, আর্থিক বিধি অনুসারে ভর্তি ফরম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রাখতে হয়। বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ দিয়ে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করতে হয়।