বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা শরণখোলার দুটি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী কঁচিখালি এলাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে গাংঙ্গের আইন এলাকায় সাগরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জলদস্যুরা জেলেদের মারধর শেষে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে দুই মাঝিকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ফিরে আসা জেলেরা জানান, এক সপ্তাহ আগে রাজৈর মৎস্য অবতরণকেন্দ্র হতে মাছ ধরার জন্য শরণখোলার রাজৈর গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেসার্স শাওন ফিশিং ট্রলার ও নলবুনিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের আট ভাই ফিশিং ট্রলারে সাগরে যান জেলেরা। শুক্রবার রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় জলদস্যু রাজু বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৮ / ১০ জনের সশস্ত্র একটি দল হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ সময় ওই ট্রলারে থাকা মাছ, ডিজেল, গ্যাস সিলিন্ডার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ ৯ থেকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। জলদস্যুদের হামলায় আটজন আহত হন।
লুটপাট শেষে মেসার্স শাওন ট্রলারের মাঝি উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের জাকির খাঁন (৫০) ও আট ভাই ফিশিং ট্রলারের মাঝি উত্তর রাজাপুর গ্রামের মো. লোকমান হাওলাদারকে (৬০) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে প্রত্যেককে জীবিত ফেরত আনতে তিন লাখ টাকা করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যুরা।
মেসার্স আট ভাই ফিশিং ট্রলারের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, থানায় মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন, পরে লিখিতভাবে জানানো হবে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, আট ভাই ফিশিং ট্রলারের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে, এ বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।