হোম > ছাপা সংস্করণ

অর্ধকোটি টাকা মূল্যের জেনারেটর ‘উধাও’

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে খামারবাড়ি থেকে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল বৈদ্যুতিক জেনারেটর ‘উধাও’ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক আব্দুর রশিদ, ক্যাশিয়ার আব্দুল আজিজসহ কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজশে জেনারেটরটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

জেনারেটর হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ক্ষুব্ধ কৃষক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা দোষ এড়িয়ে গেছেন।

অভিযোগ সূত্রে অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রশিদ গত ২৯ জুন অবসরোত্তর (পিআরএল) ছুটিতে যান। অবসরে যাওয়ার আগে জুন মাসে অফিসের ক্যাশিয়ার আব্দুল আজিজ, স্টোর কিপার মমিনুল ইসলাম ও গাড়ি চালক জহুরুল হকসহ কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজশে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর বিক্রি করেন এবং অফিসের মূল্যবান নথিপত্র সরিয়ে ফেলেন। উপপরিচালক আব্দুর রশিদ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর অবসরের পর এ নিয়ে কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মিঞাকে অভিযোগ করেন।

অবসরে যাওয়া উপপরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘জেনারেটর অফিসে আছে। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারব না।’ আর কোনো প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

ক্যাশিয়ার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি বর্তমানে লালমনিরহাটে বদলি হয়ে এসেছি। এগুলো নিয়ে অফিসের সবাই জানে। আপনি অফিসে গিয়ে কথা বলেন। এগুলো স্টোর কিপারের দায়িত্ব। আমি অফিস ক্যাম্পাসে থাকতাম। এ সুযোগে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’

ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা স্টোর কিপার মমিনুল ইসলাম বর্তমানে নাগেশ্বরীতে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আমি সব ডকুমেন্ট আমার দপ্তরকে দিয়েছি। আমাকে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করিয়েন না।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম থেকে লালমনিরহাটে বদলি হওয়া সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মিঞা বলেন, ‘জেনারেটরটি হারিয়ে গেছে এবং তার পরিবর্তে আরেকটি জেনারেটর সেখানে আনা হয়। হারিয়ে যাওয়া জেনারেটরটির সঙ্গে পরে রাখা জেনারেটরটির কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো নথিপত্র না থাকায় প্রমাণ করাও যাচ্ছে না। সেটি হারিয়ে যাওয়া জেনারেটর কিনা তদন্ত কমিটি সেটা নির্ণয় করতে পারেনি।’

বর্তমান উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘জেনারেটর হারানো নিয়ে একটি তদন্ত চলছে। আগের জেনারেটর কী ছিল সেটার কোনো স্পেসিফিকেশন না থাকায় বর্তমানে রাখা জেনারেটর সেটি কিনা তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় আর কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ