ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে ব্রিটেন। তাপমাত্র প্রায় প্রতিদিনই ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকছে। কখনো তা ৩৫ ছাড়িয়ে যায়। নিকট অতীতে এত তীব্র গরম দেখেনি ব্রিটিশরা। ইতিহাস বলছে, দেশটিতে ১৯৩০-এর দশকের পর সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে এবারের গ্রীষ্মে। এ অবস্থায় এবার কমছে ব্রিটেনের নদী ও জলাশয়গুলোর পানির স্বাভাবিক স্তর। নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ বলছে, যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর উৎসমুখ শুকিয়ে গেছে। তাই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে শুকিয়ে যেতে পারে টেমস।
যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় নদী টেমস। লন্ডন থেকে প্রায় ৯০ মাইল পশ্চিমে অ্যাস্টন কেনস গ্রামের কাছে টেমস নদীর উৎসমুখ। সম্প্রতি সেই গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলেন মাইকেল স্যান্ডার্স নামের উত্তর ইংল্যান্ডের এক পর্যটক। টেমসের উৎসমুখ একেবারে শুকিয়ে খটখটে হয়ে যেতে দেখে তিনি মর্মাহত হন।
এখনো লন্ডনের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে টেমস। কিন্তু উৎসমুখ আর আগের জায়গায় নেই। এগিয়ে এসেছে। পূর্ব থেকে সাগরের দিকে টেমসের ২১৫ মাইলের যাত্রার শুরুটা বছরের পর বছর ধরে সবুজ তৃণভূমিতে আচ্ছাদিত ছিল। এর পরিবর্তে এবার সেখানে খাঁ খাঁ মাঠ, নদীর তলদেশ ফেটে চৌচির।
কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। এবারের মতো শুষ্ক আবহাওয়া সামনে আরও দেখা যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া বিভাগ। প্রতি গ্রীষ্মেই এমন তাপপ্রবাহে ভুগতে হতে পারে। প্রচণ্ড খরার কবলেও পড়তে হতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে টেমসের মতো পরাক্রমশালী নদীগুলো শুকিয়ে যাবে।