মধুপুরে ইয়াসমিন নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে তা এখনো যায়নি। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের স্বামী নুরুন্নবীকে পুলিশ আটক করেছে। কুড়াগাছা ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের চাচা জুলহাস উদ্দিন জানান, কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করত। তাঁদের সঙ্গে ইয়াসমিনের স্বামী নুরুন্নবীও যুক্ত থাকত। তবে এক বছর আগে ইয়াসমিনের ছেলে হলে তাঁর এই অশান্তি দূর হয়।
জুলহাস আর বলেন, গতকাল বেলা ১১টার দিকে লোকমুখে সংবাদ আসে ইয়াসমিন ধরাটি টানপাহাড় এলাকায় জলপাই গাছের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইয়াসমিনকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াসমিনের শাশুড়ি নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের সঙ্গে কখনো ইয়াসমিনের মনোমালিন্য হয়নি। আমাদের নতুন বাড়িতে কাজ চলছে। আমি সেখানে ছিলাম। সে একাই বাড়িতে ছিল। এমন ঘটনা ঘটল যা আমরা ভাবতেও পারছি না।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল বলেন, সংবাদ পেয়ে মধুপুর-ধনবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনা আক্তারও হাসপাতালে গেছেন। খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।