চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক নারী (৩৫) আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
জানা গেছে, ওই নারীর ১১ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁর দুই ৯ ও ৩ বছরে দুটি ছেলে রয়েছে। বাড়ির সঙ্গেই একটি চায়ের দোকান আছে স্বামীর। দোকানে বিস্কুট ডেলিভারি দিতে আসা এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। কিন্তু পথে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যান ওই যুবক। প্রতারণার শিকার হয়ে ওই নারী চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী মহানন্দা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই নারী। তাঁরা দৌড়ে তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি ট্রেনের দুই লাইনের মাঝখানে পড়ে যান। পরে উদ্ধার করে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন ভ্যানচালক বলেন, বিকেল ৪টার দিকে ভ্যান নিয়ে চায়ের দোকানে বসেছিলাম। এ সময় আমার পাশে বসে থাকা অপরিচিত একজন ট্রেনলাইনের দিকে তাকিয়ে ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে বলে চিৎকার শুরু করেন। তখন দেখি এক নারী ট্রেনলাইনের ওপর ট্রেনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন বুঝে ওঠার আগেই একজন দৌড়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন লাইনের বাইরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মহিলাটি ট্রেনের দুই লাইনের মধ্যে পড়ে যান।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই নারীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। তিনি সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।