সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় এক উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। অভিযোগ উঠেছে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে বহিরাগতদের দিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
এর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে এই মানববন্ধন করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ১৪ মার্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর থেকে প্রভাব বিস্তার করার জন্য সভাপতি তাঁর লোকজন দিয়ে ছাত্রদের মারপিট করেন। তাঁদের ভয়ে চার দিন ধরে বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না তাঁরা। এতে লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তাই ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমানের অপসারণের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
অভিভাবক সাইফুল ইসরাম বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটির পাঁচজন সদস্য নির্বাচিত হয়। কিন্তু সদস্যদের ভোটাধিকার ছাড়াই প্রধান শিক্ষক চাপের মুখে ঘরে বসে একাই এই সভাপতি নির্বাচিত করেন। অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ব্যক্তি আক্রোশে তাঁর লোকজন দিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। আমরা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমানের অপসারণ দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সঠিক এবং সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে সভাপতি নির্বাচিত করা হোক। যেখানে আমাদের ছেলে মেয়ে নিরাপদে স্কুলে যেতে পারবে।’
মারপিটের বিষয়টি শিকার করে জি এস কে এল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্মদ বরতু্ল্লাহ জানান, এ ঘটনার পর থেকে ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি কম। নির্দ্বিধায় স্কুলে ছাত্র ছাত্রী আসতে পারবে এই জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ যদি স্কুলে আসতে ছাত্রদের বাধা সৃষ্টি করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমার ওপরে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকেরা যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যেই কিছুদিন মারপিট হয়েছিল। তা পরে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।’
এ দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রেজা জানান, নিয়ম মেনে জি এস কে এল উচ্চবিদ্যালয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে সভাপতির ভয়ে ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত হতে পারছে না বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে মীমাংসা করা হবে।