ফুলতলা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে নওয়াপাড়ায় পাচারকালে ৪০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা-যশোর মহাসড়কের যুগ্নিপাশা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নছিমন ভর্তি ৪০ বস্তা চাল এলাকাবাসী জব্দ করে। পরে খবর পেয়ে থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ নছিমন চালকসহ চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি ইলিয়াস তালুকদার বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়ার অভিমুখে নছিমন যোগে ফুলতলা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে পাচার করা কিছু চাল এলাকাবাসী জব্দ করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় পুলিশ প্লাস্টিকের বস্তা প্রতি ৫০ কেজি করে ৪০ বস্তা চাল ভর্তি নছিমন জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নছিমন চালক ফুলতলার আলকা গ্রামের মৃত রতন জমাদ্দারের পুত্র শহিদুল জমাদ্দার (৩৫) বলেন, খাদ্য গুদাম প্রহরী মোজাম্মেল তাকে নওয়াপড়ার আল-আমিনের গোডাউনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভাড়ায় নেয়। এ সময় আরও চাল অন্য নছিমনে আগেই চলে যায়। গোডাউনের কুলি অভয়নগরের গুয়াখোলা গ্রামের মকবুল মোল্লার পুত্র আইয়ুব আলী (৪০) বলেন, ফুলতলা ইউনিয়নে ভিজিডির চাল পাঠানোর কথা বলে খাদ্য গুদাম প্রহরী মোজাম্মেলের নির্দেশনায় লেবার দিয়ে নছিমনে চাল লোড দেওয়া হয়।
অপরদিকে গোডাউন প্রহরী মোজাম্মেল বলেন, ফুলতলা ইউনিয়নের বস্তা প্রতি ৩০ কেজি হিসাবে ৫১২ বস্তা ভিজিডি চাল লোড দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্লাস্টিকের বস্তায় ২ মেট্রিক টন চাল কীভাবে পাচার হয়েছে সেটি আমার জানা নেই। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত ভিজিডির ৫১২ বস্তা চাল পাওয়া গেছে বলে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তানভীন ডলি জানিয়েছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুদামের একজন শ্রমিক জানান, একদিকে চাল সংগ্রহের মৌসুমে মিলারদের কাছ থেকে মণপ্রতি দেড় থেকে দুই কেজি চাল বেশি নেওয়া হয়। আবার বিভিন্ন প্রকল্পের চাল ডেলিভারি দেওয়ার সময় কিছু পরিমাণ চাল কম দিয়ে মজুত করে রাখা হয়। যে কোন প্রকল্পে বা ভিজিডি, ভিজিএফের চাল ডেলিভারি দেওয়ার সময় কৌশলে মজুত করা ওই চাল গোপনে পাচার করা হয়।
এ ব্যাপারে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, গুদামে আমদানি করা প্লাস্টিকের বস্তা প্রতি ৫০ কেজি চাল এর লড গত মাসেই শেষ হয়েছে। তা ছাড়া গুদামের স্টক সঠিক রয়েছে।