২১ তারিখ পার হলেও বইমেলা শেষ হয়নি। সম্ভবত আরও কিছুদিন থাকবে এই মেলা। শেষ বেলায় বই কিনবেন অনেকেই।
বইপ্রেমীদের বই পড়া আর কেনার সাতকাহন চলতেই থাকে সারা বছর। তবে বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহ ও আলোচনা দুটোই বেড়ে যায় ফেব্রুয়ারি এলে। যে মানুষটি সারা বছর বই পড়েন না, হয়তো বইয়ের খোঁজও রাখেন না, বইমেলা এলে তাঁরও খানিক আগ্রহ তৈরি হয় বই নিয়ে। নিদেনপক্ষে লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে উল্টে-পাল্টে দেখেন। আর বইপ্রেমীদের তো বছরভরে এক অপেক্ষা থাকেই মেলায় গিয়ে নিজের পছন্দমতো বই কেনার।
পছন্দের বই সব জায়গায় নির্বিঘ্নে বহন করার সুবিধার সঙ্গে নজরকাড়া স্টাইলিশ লুক দেবে স্যাক বা টোটে আকৃতির বর্ণিল সব ব্যাগ। চিরচেনা পাটের বা মোটা সুতি এমনকি ডেনিম কাপড়ের ওপর চমৎকার আঁকিবুঁকি, পেইন্টিং, ব্লকের কাজ করা মজাদার সব ঝোলা ব্যাগ পাওয়া যায় আজকাল। বহু বছর ধরে এমন ফরমায়শি বইয়ের ব্যাগ ডিজাইন করে আসছেন দিশা’স রোড ব্লকের স্বত্বাধিকারী সায়কা শাহরীন, যিনি নিজেই বই পড়তে ও কিনতে খুব ভালোবাসেন। নিজে ব্যবহার করার জন্যই তিনি প্রথমে বই বহনের এই ব্যাগগুলো বানালেও পরবর্তী সময়ে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সায়কা শাহরীন জানান, সারা বছর পাঠক ও বই অনুরাগীদের কাছে এই ‘বই বওয়া ঝুলি’ এক অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। বেঙ্গল বই, কবিতা ক্যাফে, বাতিঘরসহ বিভিন্ন বুক ক্যাফে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইপড়ুয়াদের নিজস্ব গ্রুপের বদৌলতে বই নিয়ে চর্চা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে। তবে সায়কা শাহরীন জানান, বইমেলা উপলক্ষে বই কেনাবেচা অনেকটা বেড়ে যায় বলে বই বহনের ব্যাগের চাহিদাও বছরের এই সময় বেশি।
পছন্দমতো পানি নিরোধক উপকরণ দিয়ে তৈরি বই বহনের ব্যাগে ফরমাশমতো রং বা বিভিন্ন এমবেলিশমেনটের কাজ করিয়ে নেওয়া যায় সারা বছর ব্যবহার করার জন্য। ছোটদের প্রিয় কমিক চরিত্রের ছবি আঁকিয়ে নেওয়া যায় তার প্রিয় বুক ব্যাগটিতে। জিপারসহ হ্যাভারস্যাক ধরনের বুক ব্যাগও বেশ উপযোগী বই বহনের জন্য।
তবে সেই লেখক-কবি-শিল্পীদের চিরচেনা ঝোলা ব্যাগে বই নিয়ে ঘোরার এক অন্য রকম আবেদন আছে, সে কথা অনস্বীকার্য। শুধু বই নয়, বইয়ের উৎসবে মুখর হয়ে ওঠা এ সময়ে বইপ্রেমী প্রিয়জনকে অনায়াসে বই বহনের ব্যাগ উপহার দেওয়া যায়।