হোম > ছাপা সংস্করণ

মাইডাস ফাইন্যান্সের সঞ্চিতি ঘাটতি মেটাতেই গেল ৫ বছর

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসির ঋণের ৩৩ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে। কোম্পানিটির বিনিয়োগ বা প্রদত্ত ঋণ ও লিজের বিপরীতে সঞ্চিতি ঘাটতি ৩০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ ঘাটতি সমন্বয়ের জন্য সময় চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চিতি সমন্বয়ের জন্য সময় দিয়েছে ৫ বছর। ফলে আগামী বছরগুলোতে কোম্পানিটির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোম্পানিটির ২০২৩ সালে শেষ হওয়া অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মাইডাস ফাইন্যান্সের ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে প্রদত্ত ঋণ ও লিজের পরিমাণ ৯৫৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ৩৩ শতাংশই খেলাপি (ক্লাসিফায়েড)। ঋণের এই শোচনীয় অবস্থায় কোম্পানিটির ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬৬ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশও দিতে পারেনি।

এদিকে মাইডাস ফাইন্যান্সে ৫৪ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ রয়েছে, যা আর্থিক হিসাবে অন্যান্য দায়ের মধ্যে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী অবণ্টিত লভ্যাংশকে পৃথক হিসাবে দেখাতে হয়।

লভ্যাংশের বিষয়ে মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের কোম্পানি সচিব তানভির হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিনিয়োগকারীরা যখন ওই টাকা দাবি করবেন, তখনই দিয়ে দিতে হবে। নিরীক্ষক এটা সম্পর্কে কেবল তুলে ধরেছে (কনসার্ন)। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে তানভির হাসান বলেন, ‘আমরা কোনো ফাইন্যান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং করিনি। প্রকৃত তথ্য দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে তিনটা অপশন থাকে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে কোয়ালিটিটিভ জাজমেন্ট। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের অনেকগুলো গ্রাহককে খেলাপি করে দিয়েছে। আবার মর্টগেইজসহ আমাদের কিছু বিষয়ে অনেক প্রভিশনিং করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তো কিছু বলার নেই। যে কারণে একটা বড় লোকসান বহন করতে হয়েছে। আগামী বছরেই যে আমরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব, সেটা বলা যায় না। এই ধাক্কাটা সামলাতে চার-পাঁচ বছর লাগবে। গ্রাহকদের কাছ থেকে আমরা টাকা তোলার জন্য রিট পিটিশন, কেসসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি।’

গত ১৪ আগস্টের পর থেকে মাইডাসের শেয়ারদর ক্রমাগত কমছে। ওই দিন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ, এই সময়ে দর কমেছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা বা ৩৮ শতাংশ। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ