মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের। কয়েক দিনের অতিরিক্ত গরম ও পানির অভাবে বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে যেন প্রাণ ফিরেছে বোরোখেতে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও বেশ কিছু এলাকায় অতিরিক্ত গরম ও পানিসংকটের কারণে ফসল নষ্টের পথে ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ধানগাছ উজ্জীবিত হয়ে গেছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হলে বোরো ধানের পানিসংকট দূর হবে।
বোরোচাষিরা বলেন, ‘এই সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে আমাদের ফসল একবারে নষ্ট হয়ে যেত। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, আপাতত সপ্তাহখানেক ফসল মরার আর চিন্তা নেই। তবে ভারী বৃষ্টি হলে যেসব গাছে ধানের শিষ বের হয়েছে, সেসব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।’ দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সবগাছে শিষ চলে আসবে বলে তাঁরা জানান।
উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর ও রহিমপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমিতে আটকানোর জন্য খেতের চারদিকে ফাঁকা রাস্তা বন্ধ করছেন অনেক কৃষক। আবার যাঁদের ধানে শিষ বের হয়েছে, তাঁরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শিলাবৃষ্টি হলে ধানের শিষ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে সবকিছুর পরেও বৃষ্টির পানি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক বকুল আহমদ বলেন, ‘আমি সাত একর জমিতে এবার বোরো ধান চাষ করেছি। এর মধ্যে কিছু জায়গায় ধানের শিষ বের হয়ে অতিরিক্ত খরায় কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তবে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের অনেক উপকার হয়েছে।’
উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকার কৃষক কাওছার মিয়া বলেন, ‘পানির অভাবে আমার কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যেটুকু জায়গা আছে, বৃষ্টি না হলে এগুলোও নষ্ট হয়ে যেত। বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের অনেক উপকার হয়েছে, আরও কিছু বৃষ্টি হলে ধানের জন্য ভালো হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে বোরো ধান সজীব হয়েছে। যেসব জমি পানির অভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে, এসব জমির ধান বৃষ্টির কারণে বেঁচে থাকবে।