ইংলিশ ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। গত কয়েক মৌসুম শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এ দুটি দলই একে অন্যকে টেক্কা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এ দুই দলের লড়াই চলছে সমানে সমান। দুই দলের লড়াইয়ে উত্তেজনা বাড়াতে এবার যোগ দিয়েছে সময়ের দুই আলোচিত তারকা আর্লিং হালান্ড ও ডারউইন নুনেজ।
নরওয়েজীয় তারকা হালান্ড খেলবেন ম্যানসিটির হয়ে আর উরুগুইয়ান তরুণ নুনেজ লিভারপুলে এসেছেন দলবদলের ক্লাব রেকর্ড ভেঙে। এ দুজনের আগমন সিটি-লিভারপুলের দলীয় দ্বৈরথেও নতুন করে হাওয়া দিচ্ছে। ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে যাঁদের মধ্যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, সে তালিকায় ওপরের দিকেই আছে হালান্ড ও নুনেজের নাম। সর্বশেষ মৌসুমেও তাঁদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ডর্টমুন্ড দলীয়ভাবে সাফল্য না পেলেও হালান্ড ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। তিনি মৌসুমে গোল করেছেন ২৯টি। আর বেনফিকার হয়ে নুনেজ আলো ছড়িয়েছেন ইউরোপীয় মঞ্চেও। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে তাঁর গোলসংখ্যা ৩৪।
এবার হালান্ড-নুনেজের মুখোমুখি দ্বৈরথ সামনের দিনগুলোয় নতুন লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাঠে দুজনই যে খেলেন একই ভূমিকায়। স্কোরার হওয়ায় দল তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকবে গোলের জন্য। সামনের মৌসুমগুলোয় এ দুজনের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করছে দলগুলোর সফলতা-ব্যর্থতাও। ব্যক্তিগতভাবে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দ্বৈরথও থাকবে দুজনের মধ্যে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবলীয় রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে দেবে নিশ্চিত।
তারকা খ্যাতিতে অবশ্য নুনেজের চেয়ে হালান্ড কিছুটা এগিয়ে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের খেলে গোলও করেছেন অনেক। হালান্ডের তুলনায় নুনেজের উত্থান অবশ্য কিছুটা পরে। তবে সর্বশেষ মৌসুমে হালান্ডকে পেছনে ফেলেছেন সাবেক বেনফিকা তারকা নুনেজ। এই উরুগুইয়ান তারকার উঠে আসার গল্পটাও বেশ হৃদয়স্পর্শী। অর্থাভাবে একসময় ক্ষুধার কষ্ট পেয়েছেন তিনি। না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয়েছে অনেক রাত। সে তুলনায় হালান্ড বেড়ে উঠেছেন ফুটবলীয় আবহে। তাঁর বাবা আলফিয়ে হালান্ডও একসময় ম্যানসিটির হয়ে খেলেছেন। তবে খুব বেশি কিছু করে দেখাতে পারেননি। বাবার সেই না পারা ভুলিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছেলের সামনে। দুই তারকার সামনে নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা আছে। নতুন ঠিকানায় তাঁদের কাছে নতুন কিছু দেখার অপেক্ষা।