মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বালু না ঢেকে বহন করছে মাহিন্দ্রা ও ড্রামট্রাক। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া গতিতে এ যান চলার সময় বালু উড়ে পড়ছে। সে বালু অনেক সময় পথচারীদের চোখেমুখে এবং রাস্তার পাশের বাড়িঘরে গিয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
সম্প্রতি দেখা যায়, সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের ওপর দিয়ে শতাধিক গাড়ি বালু না ঢেকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার রশুনিয়া, বয়রাগাদী, লতব্দী, বালুচর, মালখানগর, মধ্যপাড়সহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সড়কেও একই অবস্থা দেখা গেছে। বেপরোয়া গতির গাড়ি চলায় বালু বাতাসে উড়ে মানুষের চোখেমুখে গিয়ে পড়ে। এ ছাড়া রাস্তার পাশে বাড়িঘরেও গিয়ে পড়ছে এসব বালু। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
মোটরসাইকেল আরোহী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে বালু না ঢেকে বহন করে নিয়ে যায় মাহিন্দ্রা ও ড্রামট্রাক। মাঝেমধ্যেই সেই বালু গাড়ি থেকে বাতাসে উড়ে চোখেমুখে পড়ে। এতে দুর্ঘটনার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করছি।’
রাজানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাওছার হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে রিকশা দিয়ে চলাচল করা যায় না। শাখা সড়ক দিয়ে বালু বা মাটি বহন করে নিয়ে যায় মাহিন্দ্রা ও ড্রামট্রাক। গাড়িগুলো চলার কারণে গাড়ি থেকে মাটি ও বালু পড়ে রাস্তায় ধুলায় একাকার হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে গাড়ি থেকে বালু উড়ে চোখেমুখে পড়ে। এতে মানুষের দুর্ভোগ হয়। কিন্তু প্রশাসনের নজরে পড়ে না।’
ড্রামট্রাকের চালক মো. কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার গাড়িতে বালু ঢাকার জন্য কাগজ আছে। কিন্তু তাড়াহুড়ার কারণে না ঢেকে এসেছি। তবে ভবিষ্যতে আর এ রকম করব না। আগে জানতাম না যে, বালু উড়ে মানুষের চোখেমুখে পড়ে ক্ষতি হয়। এখন যেহেতু জানতে পারলাম, ভবিষ্যতে এ রকম কাজ আর আমার দ্বারা হবে না।’
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা হাইওয়ে সড়ক ছাড়া স্থানীয় সড়কের গাড়িগুলোর কাগজপত্র যাচাই করতে পারি না। তবে উপজেলা প্রশাসন চাইলে আমাদের নিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারে।’