শীতকালীন সবজি হিসেবে আগাম জাতের বাঁধাকপির কদর বেশ ভালো। আগে ভাগে বাজারে তুলতে পারলে ভালো দামও মেলে। এতে লাভবান হন চাষিরা। এমন চিন্তা মাথায় রেখে, জয়পুরহাটে আগাম বাঁধাকপি চাষ শুরু করেছেন অনেক কৃষক।
সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা বলছেন, শীতকালীন এই সবজি চাষে উৎপাদন খরচ এবং পরিশ্রম দুটোই কম। কিন্তু লাভ অনেক বেশি। তাই আগাম জাতের বাঁধাকপি পরিচর্যায় ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা।
আগাম বাঁধাকপি চাষ করে গতবার বেশ লাভবান হয়েছিলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের কৃষক রমণী পাহান। গত বছর তিনি ১৬ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। এবারও লাভের আশায় সোয়া এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন তিনি। শীতের শুরুতেই বাজারে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আশ্বিন মাসের শুরুতেই ৪০ শতক জমিতে বাঁধাকপির চারা লাগিয়েছেন। এখন সেগুলোর পরিচর্যা করছেন। পৌষের শুরুতেই বাঁধাকপি বাজারে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
সবজি চাষি রমণী পাহান জানান, এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করতে চার হাজার চারা রোপণ করতে হয়। হালচাষ, নিড়ানি, সার এবং ওষুধ প্রয়োগসহ বিঘাপ্রতি সব মিলে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমির বাঁধাকপি বিক্রি করা যায় ৫০-৫৫ হাজার টাকায়। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় লাভ থাকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন মাঠে প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন সবজি চাষ হয়ে থাকে। এবার শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, বাঁধাকপি চাষে পরিশ্রম ও উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি।