পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ধানহাটার পাশে গড়ে ওঠা রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট করছে। বিশেষ করে এলাকার জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উড়ন্ত ছাইয়ে নষ্ট হচ্ছে বসতঘরের আসবাব। শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে বয়স্কদের। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বৃহত্তর ধানহাটার উত্তর পূর্ব পাশে আলোগী নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে সিকদার অটো রাইস মিল। মিলের অদূরে উত্তর পাশে রয়েছে কালাইয়া হায়াতুনন্নেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয় ও বাণিজ্যিক অঞ্চল কালাইয়া বন্দর। এই মিলের কালো ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়ে গিয়ে বিদ্যালয়সহ বন্দরের মাচেন্ট ও গার্মেন্টস পট্টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ছাইয়ের কারণে এলাকার বসতবাড়ির আসবাব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে কালো ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে মিশে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে।
কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্ট পট্টি এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী এম এ বাসার ডাবলু জানান, গত ২৫ দিন ঘর বন্ধ রেখে মায়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। গত রোববার ঘর খুলে দেখেন ঘরের আসবাবসহ সব জায়গায় ছাইয়ে ঢেকে গেছে। বাড়ির আশ পাশের গাছপালাগুলো ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে বিবর্ণ হয়ে গেছে। ধোয়ার কারণে তাঁর বয়স্ক মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে মিলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মিলের অদূরে ধানহাট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘মিলের ধোঁয়ায় মসজিদের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মুসল্লিদের নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সিকদার আটো রাইস মিলের মালিক গনি সিকদার বলেন, ‘ধোঁয়া ও ছাইয়ের প্রভাবটা দেখা দেয় শীতকালীন সময়ে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান করব।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পরিবেশে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদি বলেন, ‘সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’