হলিউড এখন যেতে চাইছে ফ্ল্যাশব্যাকে। ফিরে তাকাতে চাইছে ২০১৯ সালে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে হলিউড ব্যবসা করেছে ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ করোনার আগে ২০১৯ সালে এই ব্যবসার পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র তিন বছরে এগোনো তো দূরের কথা, ব্যবসার দিক দিয়ে বরং পিছিয়েছে। ফলে হলিউড এখনো দুশ্চিন্তামুক্ত নয়। এ বছরের বাকি আর মাত্র দুই মাসে হলিউডকে ব্যবসা করতে হবে আরও অন্তত ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
কিন্তু এর উল্টো দিকও রয়েছে। যেমন, গত বছর যেখানে ডোমেস্টিক বক্স অফিস বিক্রি ছিল ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এ বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ, বক্স অফিসের প্রবণতা বৃদ্ধির দিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যদি প্রবণতা হয় তাহলে বাকি দুই মাসে বক্স অফিস নাকি অনেকটাই ধরে ফেলবে করোনার আগের ব্যবসার পরিমাণ। কিসের ভিত্তিতে বলছেন তাঁরা এই কথা?
‘সিনেলিটিক’ নামের একটি কনটেন্ট অ্যানালিটিক ফার্ম আগামী চারটি সিনেমার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে পাঠিয়েছে ‘ভ্যারাইটি ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম’-এর কাছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, যদি ভয়ানক কিছু না ঘটে তাহলে আগামী দুই মাসে দর্শকের সংখ্যা প্রায় ফিরে আসবে ২০১৯ সালের পরিস্থিতিতে। ওই তালিকায় রয়েছে—
সিনেলিটিকের ধারণা, ‘অ্যাভাটার ২’ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। এ ছাড়া ভিডিও-অন-ডিমান্ড স্ট্রিমিং এবং টিভি পে-আউট এসব হিসাব চলবে আগামী বছরের গোড়া পর্যন্ত। যদিও অ্যাভাটারের প্রথম পর্ব আয় করেছে ৭৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই আয় এসেছে ১৩ বছর ধরে।
অবশ্য এই বছর এখন পর্যন্ত বক্স অফিসে বেশি আয় করা সিনেমা হলো ‘টপ গান ম্যাভেরিক’। এখন পর্যন্ত আয় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ৩৫ বছর পর টম ক্রুজ এ সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরে ভালোই খেলা দেখিয়েছেন।সিনোলিটিক অনুমান করছে, ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ বিক্রি হবে ৩২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ‘ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফর এভার’ বিক্রি হবে ৪২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ‘হ্যালোইন এন্ডস’-এর আয় ধরা হয়েছে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সব হিসাবই হলো পূর্বাভাস। বাস্তবে কী ঘটে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।