চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীর সীমানা নির্ধারণের পর মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে চাঁদপুর জেলার সীমানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চর চারআনি মৌজা ও মুন্সিগঞ্জ সদরের চর আব্দুল্লাহ মৌজার সীমানা নির্ধারণ করে চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সীমানা নির্ধারণের পর বাংলাদেশ নৌ পুলিশ মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামানকে বুঝিয়ে দেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। ইতিমধ্যে মেঘনা নদীর মাঝখানে দুই জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ সীমানা বয়া ও লাল নিশান দিয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ সদরের চর আব্দুল্লাহ মৌজার বালুমহলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্লাহ, সার্ভেয়ার আবুবকর সিদ্দিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চর আব্দুল্লাহ বালুমহলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৪২৯ বাংলা সনে চর আবদুল্লাহ বালুমহালটি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়নে অবস্থিত। গত ৩ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ সদরের কোর্টগাঁও গ্রামের মো. ফারুককে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারা দেয়। ৬ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. এরশাদ মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ ইজারা দেওয়া হয়।