কোনো সফর শেষে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরা মানেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ভিড়। ক্রিকেটাররাও হতাশ করেন না। হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কেউ কেউ কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
গতকাল শুক্রবারও ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার খবরে বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন সংবাদকর্মীরা। তবে এবারের অভিজ্ঞতাটা একেবারেই ভিন্ন। ক্রিকেটারদের কারও মুখে হাসি নেই। যেন দ্রুত বিমানবন্দর ছাড়তে পারলেই বাঁচেন তাঁরা।
বিশ্বকাপের মলিন পারফরম্যান্সের চাপ যেন ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে। এমনটাই তো হওয়ার কথা। সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়েই বিশ্বকাপে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে সুপার টুয়েলভে। এ পর্বের সব ম্যাচ হেরে সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ দলের ১০ ক্রিকেটারসহ ১২ জনের গতকাল দুই ভাগে দেশে ফেরার কথা।
প্রথম ধাপে দেশে আসা ক্রিকেটারদের ফ্লাইট বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শুরুতে দেশে আসেন শরীফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাইম, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আফিফ হোসেন ও শামীম পাটোয়ারী। বিসিবি চিকিৎসক ও মিডিয়া ম্যানেজারও আছেন একই ফ্লাইটে। রাত ১১টায় দেশে ফেরার কথা ছিল নুরুল হাসান, সৌম্য ও মেহেদীর।
তবে এখনি দেশে ফিরছেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে তাঁরা আরব আমিরাতে রয়ে গেছেন। ছুটিতে আছেন রাসেল ডমিঙ্গোসহ কোচিং স্টাফরাও। তাঁদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে ১১ নভেম্বর। এরপর পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ১২ নভেম্বর থেকে অনুশীলন শুরুর কথা বাংলাদেশ দলের। ১৯ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে এই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ।