খুলনায় জেলা পরিষদে ঠিকাদার ও তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এফ এম মফিজুল রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে গতকাল নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ হয়েছে। খুলনা জেলা যুবলীগ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম, শিউলি আক্তার, জামিল খান, যুবলীগ নেতা এবিএম কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান রিয়াজ, জলিল তালুকদার, ব্রজেন দাস, প্রদীপ বিশ্বাস, শেখ মো: জামাল, শেখ মনিরুল ইসলাম, এস, কে আলী ইয়াছিন, অনুপম বিশ্বাস, প্রভা ষক গোবিন্দ ঘোষ ও ছাত্রলীগ জেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এফ এম মফিজুল রহমান করোনাকালে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী (হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ও মাস্ক) সরবরাহ করেন। সেই সরবরাহের বিল এখনো বকেয়া রয়েছে। সেই বিলের বিষয় নিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে যান তিনি ও অপর ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী। এ সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তার ঘনিষ্ঠ সাইফুর রহমান সুজন নামে এক ব্যক্তি সেখানে বসা ছিলেন। বিলের বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অবস্থা বেগতিক দেখে মফিজ তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
রুমের বাইরে আসলে সুজন তাকে চড় কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ সময় তার হাতে থাকা ভারী ধাতব বস্তু দিয়ে তার কপালে সজোরে আঘাত করে। এতে তার কপাল ফেটে যায়। সেখানে চারটি সেলাই লেগেছে। এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার খুলনা সদর থানায় মফিজ বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু ৪ দিনেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী সন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, সুজন জেলা পরিষদের কেউ না। প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবের সঙ্গে ছায়ার মত লেগে থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন তিনি।