জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। গত রোববার রাতে মির্জা আজম হোস্টেলে দুই পক্ষের মারামারিতে চারজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ এবং সহসভাপতি মাহাবুবুল হাসান মিঠুনের মধ্যে দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাত সাড়ে ১১টায় মাহাবুবুল হাসান মিঠুনের অনুসারীরা মির্জা আজম হোস্টেলের ৩১৩ নম্বর কক্ষে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় হাবিবুল্লাহ সমর্থিত ২০-২৫ জন তাঁদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় চারজন আহত হন। জাকারিয়া জাকির (২৩) ও মো. ওয়ালিউল্লাহ নামের দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখন শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বলেন, এখানে ছাত্রলীগের কোনো ঘটনা নয়। ওই কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্র দখল করে ছিলেন। কয়েকজন নতুন শিক্ষার্থী আসছেন। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রকে কক্ষটি ছেড়ে দিতে বললে তিনি কক্ষটি ছেড়েও দিয়েছেন। নতুন চারজন ছাত্র ওই কক্ষে ওঠেন। রোববার রাতে ওই ছাত্র কক্ষের লাইট খুলে নেন এবং নতুন ছাত্রদের বের হয়ে যেতে বলেন। পরে নতুন চার ছাত্র তাঁদের সিনিয়রদের বিষয়টি জানান। কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেন।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শ্যামল কুমার সাহা।