ব্যবসাকে উপার্জনের বৈধ মাধ্যম হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে ইসলাম। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ব্যবসায় অংশগ্রহণ করা বৈধ। এ ব্যাপারে নারীদের জন্য পৃথক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)। আয়াতে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রে ইসলামের অন্যান্য বিধান যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
একজন পুরুষ হালাল পন্থায় যেসব ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন, একজন নারীও সেসব ব্যবসা করতে পারেন। তিনি বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত হোন এবং সেই সঙ্গে তিনি তাঁর অর্জিত সব সম্পদের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী। কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই তিনি তাঁর সম্পত্তির ব্যাপারে সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন, যা একজন পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। নারীর অর্জিত অর্থে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যা কিছু পুরুষেরা অর্জন করবে, তা তাদেরই অংশ হবে; আবার নারীরা যা কিছু উপার্জন করবে, তা তাদেরই অংশ হবে।’ (সুরা নিসা: ৩২)
মহানবীর (সা.) যুগেও নারীরা শালীনতা ও পর্দা রক্ষা করে ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বয়ং তাঁর জীবনসঙ্গিনী হজরত খাদিজাও (রা.) মক্কার বিখ্যাত ব্যবসায়ী ছিলেন। পবিত্র কোরআন ও মহানবীর (সা.) হাদিসে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে, যা নারীর ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈধতার পক্ষেই অবস্থান করে। এর বিপক্ষে কোনো আয়াত বা হাদিস পাওয়া যায় না।
লেখক: কুরানিক সায়েন্স অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম