নাগরপুরে নুরভানু (৫৮) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালে দুবৃত্তরা নিজ বাড়িতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে রান্নাঘরের সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। উপজেলা সদরের দুয়াজানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরভানু ওই গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পরিবারের ছেলে, ছেলের বউসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানি গ্রামের আব্দুল মিয়া তিন ছেলেসন্তান রেখে প্রায় ১২ বছর আগে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর দুই বছর পর নুরভানু ফের বঙ্গবটিয়া গ্রামের তিন সন্তানের জনক মো. বাবুল মিয়াকে বিয়ে করেন। বাবুল মিয়া সেদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে নুরভানু রান্না করতে যান। এ সময় তাঁকে লাঠি দিয়ে কে বা কারা পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহত নুরভানুর স্বামী বাবুল মিয়া বলেন, ‘সকালে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য চলে যাই। আনুমানিক আটটার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পাই। দ্রুত বাড়িতে এসে রান্নাঘরের সামনে আমার স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখি।’
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।