ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় মৃত ব্যক্তিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক বিদেশি নাগরিক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আসামিদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
গত ২ ফেব্রুয়ারি করা মামলায় ৯ নম্বর আসামি আমিনুল ইসলাম মামলা হওয়ার প্রায় বছরখানেক আগে মারা গেছেন। তিনি সাভারের বিরুলিয়ার আক্রাইন এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে। আমিনুলের ছেলে সাকিব বলেন, ‘আমার বাবা মারা গেছেন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। এটা একটা হয়রানি মূলক মামলা। আমাদের বাসায় পুলিশ যায়, আমরাও হয়রানির শিকার।’
ভুক্তভোগী রোজী বলেন, ‘আমরা বিরুলিয়া মৌজায় ১৬ শতাংশ জমি প্রায় ১২ বছর আগে কিনি। কিন্তু তাসলিমা আহমেদ নামের এক নারী আমাদের জমিসহ এলাকাবাসীর মোট ৪০ শতাংশ জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসী তাঁদের বাধা দিলে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন তাসলিমার স্বামী সামির এমএম হাড্ডি। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ।’
রোজী বলেন, ‘সাভার থানায় আমরা মামলা করতে গেলে আমাদের মামলা নেয় না। এসআই সজল এইখানে আসেন আমাদের জিজ্ঞেস করে, আমরা কেন কাজে বাধা দিচ্ছি? এএসপি কাফী সাহেব আমাদের ওই জমিতে যেতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন এ জমিতে হাড্ডি কাজ করবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে তাসলিমা আহমেদ বলেন, ‘আমরা বৈধভাবে জমি কিনেছি। ২৮ শতাংশ জমি কিনেছি ও বাকি ১২ শতাংশ বায়না সূত্রে মালিক। এত দিন কোনো সমস্যা ছিল না। হঠাৎ করে একটি দালাল চক্র আমাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে এমন কাজ করছে।’
মৃত ব্যক্তি কীভাবে মামলার আসামি হলেন-এ প্রশ্নের জবাবে তাসলিমা বলেন, ‘ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও নাম শুনে মামলায় নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ব্যক্তি মারা গেছেন, সেটা জানতাম না। ভুলবশত নামটি লেখা হয়েছিল।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সাভার থানার এসআই সজল খান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির নামে যে মামলা হয়েছে তা আমি মামলা হওয়ার পর জেনেছি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এ ব্যাপারে উল্লেখ করব। আমি অভিযোগের তদন্ত করছি, কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য আমার নেই।’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘বাদী যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা হয়েছে।’