বদরগঞ্জে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা ঘেঁষে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে তোলা মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়।
উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের পলিপাড়া এলাকায় এই পুকুর বানানো হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে পাশের রাস্তাটি। এলাকার মানুষ জানায়, জমির মালিক নগদ টাকার লোভে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। ভারী বৃষ্টি হলে রাস্তাটি ভেঙে পুকুরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউনিয়নের সোনারগাঁপাড়া এলাকা থেকে কাঁচা রাস্তাটি পলিপাড়া হয়ে প্রামাণিকপাড়া গ্রামে চলে গেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পলিপাড়ায় রাস্তার পাশের কৃষি জমি থেকে স্থানীয়ভাবে ভেকু মেশিন হিসেবে পরিচিত এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে। সেই মাটি ট্রাক্টরে করে নেওয়া হচ্ছে পাশের কেআরএম নামের একটি ইটভাটায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পলিপাড়ার এক ব্যক্তি বলেন, জমি মালিকের রাস্তা ঘেঁষে এই পুকুর খনন করার উদ্দেশ্য মূলত মাটি বিক্রি করা।
খনন হওয়ার পর পুকুরটি রাস্তা ভেঙে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে ভ্যানচালক নুর আলম বলেন, ‘জমির মালিক ও ভাটার মালিক লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের। ইতিমধ্যে ট্রাক্টর চলাচল করায় কাঁচা রাস্তাটি বেহাল হয়ে গেছে।’
এ সময় কথা হলে এক্সকাভেটরের চালক সাজ্জাদুল বলেন, ‘আমি মেশিন নিয়ে ভাড়ায় এসেছি এখানকার মাটি কাটতে। আমি যাঁর নির্দেশে এখানে এসেছি তিনি যেভাবে মাটি কাটতে বলেছেন আমি সেভাবেই মাটি কাটছি।’
তবে সাজ্জাদুল নির্দেশদাতার নাম বলতে পারেননি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এত গভীরভাবে মাটি কাটলে তো একদিন রাস্তার ক্ষতি হবেই।’
মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের চালক শাহিন মিয়া বলেন, ‘৮-১০টি ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেআরএম ইটভাটায়। কিছু বলার থাকলে হয় জমির মালিককে বলেন, না হয় ইটভাটার মালিককে বলেন। আমরা এখানে ভাড়ায় এসেছি।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইটভাটার মালিক মোতালেব হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তবে জমির মালিক ভুট্টু মিয়া বলেন, ‘নিজের জমিতে পুকুর খনন করতেছি। এতে দোষের কী?’
যোগাযোগ করা হলে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘রাস্তা ঘেঁষে কেউ পুকুর খনন করতে পারেন না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’