জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশব্যাপী চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। দূর দুরন্ত থেকে অনেকেই মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারে করে গন্তব্য ফিরতে হচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ছোট যানবাহনগুলোর ভিড় দেখা গেছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারের মতো ছোট গাড়িতে করে আসছেন। দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতেই ছোট যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশি। এদিকে লঞ্চঘাট চালু থাকলেও তা দুপুরের পর বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
ঘাট এলাকায় দেখা যায়, স্থানীয়দের পাশাপাশি বহিরাগত অনেক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্র, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে আছে।
কয়েক জনের অভিযোগ, গণপরিবহন বন্ধ থাকার অজুহাতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
মাদারীপুর থেকে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন আনোয়ার হোসেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান। দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে আলাপকালে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন। অফিসের চাপে যেভাবেই হোক যেতে হচ্ছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাইক্রোবাসে যাত্রী তোলায় ব্যস্ত শাহ আলম। তিনি বলেন, গণপরিবহনে যাত্রী তোলার কাজ করি। বিনিময়ে পরিবহন থেকে জনপ্রতি যাত্রী বাবদ নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পাই। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফেরিঘাটে এসেছি মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলে দিতে।
গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন চাকরিজীবী হাসিবুল হক। তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি দিতে গিয়েছিলাম। গণপরিবহন না থাকায় বিভিন্ন ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে প্রায় তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে একটু চাপ কম। কিন্তু প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের চাপ বেড়েছে।