মিঠাপুকুরের সব প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দাকে চলতি নভেম্বরের মধ্যেই করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ নিতে বলা হয়েছে। এ মাসে প্রথম ডোজ নিতে না পারলে পরবর্তী মাসে তা পেতে বিলম্বন হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুল হালিম লাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ চলবে। তাই যেসব ব্যক্তি এখনো প্রথম ডোজ নিতে পারেননি তাঁদের ঝামেলা এড়াতে নভেম্বরেই এই ডোজ নিতে হবে। যাঁরা অ্যাস্ট্রেজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া চলবে ডিসেম্বরে।
এদিকে উপজেলায় করোনার টিকাকেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিল ৮২৪ এইচএসসি পরীক্ষার্থী। দুই দিনের ক্যাম্পে ২ হাজার ৮২৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর মিঠাপুকুর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ও শঠিবাড়ি মহাবিদ্যালয়ে ক্যাম্প করে পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
দুই দিনে ডাকবাংলো ক্যাম্পে ৯৯২ জন ও শঠিবাড়ি মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পে ১ হাজার আটজনকে টিকা দেওয়া হয়। উপজেলার ১৮টি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছে ২ হাজার ৮২৪ শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, টিকা নেওয়ার বিষয়টি সব পরীক্ষার্থীকে অবহিত করার জন্য কলেজ প্রধানদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হেনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাজানুর রহমান জানান, টিকা নেওয়ার জন্য তাঁর কলেজের ১২২ পরীক্ষার্থীকে ফোনে অবহিত করা হয়েছিল।
জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ক্যাম্পে টিকা নেওয়া কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা টিকা নিয়ে আনন্দ পেয়েছে।
আখিরাহাট কলেজের পরীক্ষার্থী খাদিজা বেগম বলে, ‘টিকা নেওয়ার আগে খুব ভয়ে ছিলাম। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর ভয় কেটে গেছে।’ আরেক পরীক্ষার্থী রিমন জানান, টিকা নেওয়ার পর তিনি নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লাবলু জানান, টিকা ক্যাম্পে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ তাঁরা হয়তো এর আগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
ডা. লাবলু বলেন, উপজেলার পরীক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে দিতে হয়।