মনিরামপুরে বাবাকে করাত দিয়ে রগ কেটে হত্যাচেষ্টার মামলায় হাবিবুর রহমান মিন্টু নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁকে অভয়নগর থেকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করে র্যাব–৬ এর একটি দল মনিরামপুর থানায় সোপর্দ করে। গতকাল রোববার আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।
গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান মিন্টু উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত জুনে স্ত্রীকে মারধর করার প্রতিবাদ করায় তিনি তাঁর বাবা আব্দুস সবুরকে করাত দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। এ সময় তিনি বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মিন্টুর মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। সেই থেকে মিন্টু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় মাজার এলাকায় ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুই সন্তানের জনক মিন্টু পেশায় নির্মাণশ্রমিক। প্রায়ই তিনি স্ত্রীকে মারধর করতেন। গত জুনের মাঝামাঝি একদিন স্ত্রীকে মারধর করার প্রতিবাদ করেন আব্দুস সবুর। তখন তিনি ছেলেকে ভয় দেখানোর জন্য ঘরের পেছনে গিয়ে পুলিশকে ফোন করার অভিনয় করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু করাত দিয়ে তাঁর বাবার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। একই সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনি বাবাকে হত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আব্দুস সবুরকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মিন্টুর স্বজনেরা জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে মিন্টু স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে অভয়নগরের নওয়াপাড়া এলাকায় পালিয়ে যান। সেখানে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন মিন্টু। পরে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরামপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক আব্দুর রহমান বলেন, ‘মিন্টুকে সকালে (রোববার) আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’