গান-বাজনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। রান্না, অতিথি আপ্যায়নসহ হিন্দুশাস্ত্রমতে সব আয়োজনই ছিল। তবে এটি কোনো মানুষের বিয়ে নয়, বট আর পাকুড়ের বিয়ে। শাড়ি পরে টোপর মাথায় দিয়ে বউ পাকুড়গাছ আর ধুতি-পাঞ্জাবি পরে টোপর মাথায় ছিল বটগাছ।
গত শুক্রবার বিকেলে এমনই বিয়ে হয়েছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। বিয়ের কার্যক্রম চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
গাছের সঙ্গে গাছের বিয়েতে প্রায় ৭০০ জন অতিথি ছিলেন। এই বিয়েতে বরের বাবা ছিলেন রাজ কুমার সরকার আর মেয়ের বাবা ছিলেন শীতল কুমার সরকার।
বিয়েতে আসা অতিথিরা জানিয়েছেন, বট ও পাকুড়ের বিয়ে মানেই মঙ্গল আগমন আর তাই তাঁরা অতি আগ্রহে এবং মঙ্গল কামনায় এই বিয়েতে এসেছেন।
এই বিয়ের পুরোহিত ছিলেন বিজয় কুমার রায়। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মমতে, বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হলে এলাকার লোকজনের মঙ্গল হয়। পূর্বকাল থেকেই এ ধরনের বিয়ের প্রচলন হয়ে আসছে।
বিয়ের নিমন্ত্রণে আসা মধুসুদন সরকার বলেন, এ ধরনের বিয়ের কথা তিনি শুনেছেন; কিন্তু কখনোই এ ধরনের বিয়ে দেখা হয়নি। তাই অনেক আগ্রহ নিয়ে এই বিয়ে দেখতে এসেছেন।
মেয়ের বাবা ও বিয়ের আয়োজক শীতল কুমার সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বপ্নে দেখেছিলেন, এ জন্য এই বিয়ের আয়োজন করেছেন। আয়োজনে ৭০০ মানুষকে নিমন্ত্রণ করেছেন সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।