মুলাদীতে নকল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিছু মুদি ও চায়ের দোকান ওষুধ বিক্রি হয়। সেখানে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, মুলাদী বন্দরে ৬০টি ফার্মেসিসহ উপজেলায় দুই শতাধিক ওষুধের দোকান রয়েছে। দোকানগুলোতে কোম্পানির ওষুধের সঙ্গে নকল ওষুধও বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ আছে। খুচরা বিক্রেতার জেনেশুনে কমমূল্যে এসব নকল ওষুধ গ্রামাঞ্চলে বিক্রি করেন। উপজেলার বিভিন্ন মুদি ও চায়ের দোকানেও ওমিপ্রাজল, প্যারাসিটামলসহ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করতে দেখা যায়। ক্রেতারা জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে নিম্নমানের নকল ওষুধ সংগ্রহ করেন।
ওষুধ ক্রেতা আনিচুর রহমান জানান, স্কয়ার কোম্পানির ওমিপ্রাজল-২০ সেকলো এক পাতা ৬০ টাকা। একই লেখা ও লোগো সংবলিত ভেজাল সেকলো বাজারে পাওয়া যায়। যা একজন বিক্রেতা ২০-৩০ টাকায় কেনেন।
ওষুধ বিক্রেতা ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশের সব কোম্পানি তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে দোকানে ওষুধ পৌঁছে দেন। প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ওষুধ সংগ্রহ করলে ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যারা ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করেন তারা জেনে শুনেই কেনেন। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী দোকানে ওষুধ পৌঁছে দেন।
উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম বলেন, নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে অভিযান চালানো হয়। একসঙ্গে সব দোকানে যাওয়া সম্ভব নয়। একটি দোকানে অভিযানে গেলে বাকি দোকান বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, নকল ও নিম্নমানের ওষুধে রোগীদের ক্ষতি হতে পারে। মুদি কিংবা চায়ের দোকান মালিকেরা না জেনেই ওষুধ বিক্রি করেন। ওষুধে মেয়াদ আছে কিনা, ভালো মানের কিনা দেখে নেওয়া উচিত। এ ছাড়া চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।