ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ছিলেন মানিকুর রহমান। তিনি গত বুধবারে নির্বাচনে মোট ৩টি ভোট পেয়েছেন। অথচ তাঁর পরিবারেই ৬টি ভোট রয়েছে।
তিন ভোটের মধ্যে একটি মানিকুর রহমানের বাকি দুটি তাঁর মা ও স্ত্রীর ভোট। তাঁর বাবা ও ভাইদের ভোট পাননি। এ ছাড়া দুই ভোট কেন্দ্রে দেওয়া নিজের এজেন্টদের ভোটও পাননি। এ নিয়ে নির্বাচনের পরদিন সকালে মানিকুর তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে সাতজন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে মানিকুর রহমানের চাচা ও তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আতিকুর রহমানও তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মানিকুর রহমান আপেল প্রতীকে ও তাঁর চাচা ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে চাচা-ভাতিজা দুজনই পরাজিত হন। এ ওয়ার্ডে লক্কু মিয়া সিলিং ফ্যান প্রতীকে ৪৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে আপেল প্রতীকে মানিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট। এর মধ্যে এক কেন্দ্রে দুই ভোট ও আরেক কেন্দ্রে পান এক ভোট। তাঁর চাচা আতিকুর রহমান ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮ ভোট।
মানিকুর রহমানের এ ফলাফলে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় তাঁর পরিবারে অশান্তি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে বারবার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় সদস্য প্রার্থী ছিলেন মানিকুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকে তিনি ফোন বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে।