বালাগঞ্জে ভোট না দেওয়ায় নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের সোনাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের রহমত উল্যার ছেলে ইয়াছিন মিয়া বাদী হয়ে রোববার সিলেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন-বোয়ালজুড় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী নশর আলী, একই গ্রামের কাঞ্চন বৈদ্য ও শাকির মিয়া। এ ছাড়া এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরও ১৪-১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর গতকাল সোমবার কালিবাড়ি বাজার থেকে আসামি কাঞ্চন বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বালাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বোয়ালজুড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী নশর আলী ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ১৩ নভেম্বর রাতে নশর আলীর আয়োজনে সোনাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির উঠানে বৈঠক বসে।
ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বৈঠকে তিনিসহ ৬ জনকে ডেকে নশর আলীকে ভোট না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। নির্বাচনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের মারধর ও জুতাপেটা করে অপদস্থ করা হয়। এ ঘটনায় ইয়াছিন মিয়া বালাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তদন্তের অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তী সময়ে তাঁরা ৬ জন গ্রামছাড়া ছিলেন এবং নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
তবে নশর আলী জুতাপেটা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী লোকজনের চক্রান্তে ভিত্তিহীন অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা করে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ নিয়েছেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে বালাগঞ্জ থানার ওসিকে (তদন্ত) নির্দেশ দিয়েছেন।