মাগুরার শালিখা উপজেলার আনন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১টি গাছ কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত শনিবার বিকেলে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকবর আলীর লিখিত নির্দেশে ৮টি মেহগনি, ১টি কাঁঠাল ও দুটি রেইনট্রি গাছ কর্তন করছেন শ্রমিকেরা।
প্রথমে গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে শ্রমিকেরা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে গাছ গুলো কাটা হচ্ছে ৷ স্থানীয়দের মতে গাছ ১১ টির মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন হোসেন ও এলাকার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, এই সময় বিদ্যালয় বন্ধ। ছুটির দিন প্রশাসনের লোকজনও আসবে না। এ সুযোগে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাম মাত্র বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। গত মাসের ৬ তারিখে বিজ্ঞপ্তির জন্য শিক্ষা অফিসের লোকজন বিদ্যালয়ে এসেছিল। কিন্তু সরকারি ভিত্তি মূল্য না ওঠায় বিজ্ঞপ্তি হয়নি। তাঁরা বলেন আজ গাছগুলোর বিজ্ঞপ্তি হবে না ৷ এর পরবর্তী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে ৷ অথচ তিনি গোপনে অফিসে বসে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন ৷
গাছের ব্যাপারী সীমাখালী গ্রামের হোসেন আলী মোল্যা বলেন, ‘গাছের বিজ্ঞপ্তি হবে বলে প্রথমে শিক্ষা অফিসের লোকজন আমাদের বিদ্যালয়ে ডেকেছিলেন ৷ কিন্তু বিজ্ঞপ্তি হয়নি ৷ পরে আমাকে শিক্ষা অফিসে ডেকে নিয়ে ৭১ হাজার ৪০০ টাকা জমা নিয়ে লিখিতভাবে কাটতে অনুমতিপত্র দেন। তাই গাছগুলো কর্তন করছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর আলী বলেন, প্রথম খোলা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন গাছগুলোর সরকারি নির্ধারিত দর উঠেনি ৷ পরবর্তীতে স্থানীয় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়মের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি করে ওই ব্যাপারীকে গাছ দেওয়া হয়েছে।