হোম > ছাপা সংস্করণ

শেরপুরে ১৫৫ মণ্ডপে উদ্‌যাপিত হবে দুর্গাপূজা

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে জোর প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। জেলার মোট ১৫৫ মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসব। আগামী রোববার মহালয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ ও জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ।

জানা গেছে, প্রতিমাশিল্পীরা তাঁদের নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার অবয়ব। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন ব্যস্ত 
হয়ে পড়ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুরু হবে প্রতিমা রং করা ও সাজানোর কাজ। এ জন্য প্রতিমাগুলোকে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়, কাদামাটিসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করছেন কারিগরেরা। তাঁদের কাজে সহায়তা করছেন কয়েকজন। এখন প্রতিমার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। যে প্রতিমাগুলোর কাজ শেষ হয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্ট মন্দিরে মন্দিরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকার প্রতিমা তৈরির কারিগর পলাশ চন্দ্র পাল বলেন, বাবা-দাদারাও দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় আমিও এ পেশায় এসেছি। এবার ২৩টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। সবকটির কাজ শেষ, এখন রং আর সাজানোর কাজ শুরু হবে।

আরেক প্রতিমাশিল্পী দিলীপ কুমার পাল বলেন, করোনার প্রকোপ না থাকায় প্রতিমার কাজ গতবারের চাইতে বেড়েছে। একই কথা জানান গুরুপদ পাল, অন্ত পাল, সুভাষ পালসহ কয়েকজন প্রতিমাশিল্পী।

জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা বলেন, মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান ছিল। এবার তা থাকবে না আশা করি। তবে এবার ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আলোকসজ্জা কম করা হবে। 
তিনি আরও জানান, শেরপুরে এবার ১৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৬৯, নালিতাবাড়ীতে ৩৬, নকলায় ২১, ঝিনাইগাতীতে ১৯ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১০টি মণ্ডপ রয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গোৎসবের শুরু ও ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।

এদিকে মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুর্গাপূজা ঘিরে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি বসানোতে কাজ চলছে। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে ৬ থেকে ৮ জন আনসার সদস্য, ১০ জন ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার প্রতিটি মণ্ডপে আধা টন করে জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও পূজা উদ্‌যাপনের পরিষদের সঙ্গে সভা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ