হোম > ছাপা সংস্করণ

‘সেরা’ টুর্নামেন্টে আফসোস কম নয়

রানা আব্বাস, অ্যাডিলেড থেকে

হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, তাঁদের এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, যেটা আগে করেননি তাঁরা। সাকিব কথাটা বলেছিলেন সুপার টুয়েলভে প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ে আর নেদারল্যান্ডসকে দেখে।

বাংলাদেশ আগে কখনো সুপার টুয়েলভে জেতেনি। এই দুই প্রতিপক্ষকেই এবার তারা ‘টার্গেট’ করেছিল জয়খরা ঘোচাতে। সেটা তারা পেরেছেও। দুটি দলের পক্ষেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে কোনো জয়ই সহজ ছিল না। নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৯ রানে জেতা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ দিকে চরম নাটকীয়তায় ৩ রানে জয়। বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স বলতে হবে ভারতের বিপক্ষেই। বৃষ্টিবিঘ্নিত এ ম্যাচেও আলোচিত হয়েছে বিতর্কিত আম্পায়ারিং।

গতকাল বাংলাদেশ দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। একটা ম্যাচ জিতলেই শেষ চার—এমন সুযোগ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই কখনো পায়নি। ভারতের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়ে হার। পাকিস্তানের বিপক্ষেও সম্ভাবনা জাগিয়ে পারেনি বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে জয়খরা ঘোচাতে পারলেও আফসোসও কম নয়।

গতকাল অ্যাডিলেডের স্নিগ্ধ বিকেলে এই আফসোস ঝরল সাকিবের কণ্ঠে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন, ‘ফলের দিক থেকে চিন্তা করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই আমাদের সেরা আসর। আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের সেই সুযোগ ছিল। নতুন খেলোয়াড় এসেছে, অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে (দলে)...তাদের কাছ থেকে অন্তত এটুকুর আশা ছিল আমাদের।’

সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যাওয়ার পেছনে কাঠগড়ায় উঠবে বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিং। পুরোটা টুর্নামেন্টে সংগ্রাম করেছেন এই পজিশনের ব্যাটাররা। ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিবিরতির পর বাংলাদেশ পারেনি তাঁদের ব্যর্থতায়। মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহর মতো দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের শূন্যতা পূরণের ভার যাঁদের কাঁধে ছিল—নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত কিংবা ইয়াসির আলী রাব্বী—কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ঠিকঠাক।

গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ছবি। প্রথম ৬০ বলে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে পরের ৬০ বলে যদি ৭ উইকেটে ৫৭ রান ওঠে, তবে ভালো স্কোরই হবে কীভাবে, দল জিতবেই-বা কী করে।

সাকিবের আফসোস ঝরল এটা নিয়েও, ‘ইনিংসের মাঝপথে আমরা ৭০/১ ছিলাম। সেখান থেকে আমরা ১৫০ রানের কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলাম। এই উইকেটে সেটি ভালো সংগ্রহ হতো। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যেমনটা দেখেছি। ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগ সব সময়ই কঠিন, শেষ ১০ ওভারে রান করা কঠিন। আমরা জানতাম, পরের নতুন ব্যাটারদের জন্য এটি সহজ হবে না। তাই সেট ব্যাটসম্যানদের এগিয়ে নিয়ে ইনিংস শেষ করা জরুরি ছিল। যেটা হয়নি।’

মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা আফিফ হোসেন এসেছিলেন মিক্সড জোনে। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা তিনি এড়িয়েই গেলেন, ‘আমি কীভাবে বলব। কোচরাই ভালো বলতে পারবেন।’ সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটিং অর্ডার নয়, এটা পুরো দলেরই ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে চাইছেন, ‘এখানে লোয়ার-মিডল অর্ডার বলে কোনো কথা নেই। আমরা পুরো দল হিসেবে ভালো খেলেনি। যে ম্যাচগুলো জিতেছি, দল হিসেবেই জিতেছি। এটা সবারই দায়িত্ব ভালো করা।’

দলের পারফরম্যান্সে আনন্দ-আফসোস—দুই-ই আছে মাশরাফি বিন মর্তুজার। বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক গতকাল ফেসবুকে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে এতটা ভালো খেলবে দল, সেটা ক্রিকেটের খুব কাছে থাকা মানুষেরাও হয়তো আশা করেনি।গ্রুপও আমাদের পক্ষেই ছিল অনেকটা, শুধু একটা বড় ম্যাচ জিততে হতো।’ প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি খেলতে আসা বাংলাদেশের বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত ২০ ওভারের সেরা টুর্নামেন্ট হলেও তাসমান সাগরের পাড় থেকে অনেক আফসোস নিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ