প্রকৃতির অপরূপ সাজে সেজেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) সড়ক। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে গাছে গাছে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুল। ফুলের সৌন্দর্য এখন নজর কাড়ছে সবার।
বসন্ত ঋতু এলে যেমন নানা রঙের নানা বর্ণের ফুলের দেখা মেলে এখানে। তেমনি গ্রীষ্ম ঋতুতে দেখা মেলে কৃষ্ণচূড়া আর সোনালু ফুলের। তবে ফুলপ্রেমীদের কাছে কৃষ্ণচূড়া ফুল বেশি পছন্দের।
প্রকৃতিপ্রেমী চাতরীর চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানাসহ বাড়ির আঙিনায় বনজ গাছ রোপণের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণের তালিকায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু ফুল রাখা দরকার। বিভিন্ন প্রকার সৌন্দর্যবর্ধক গাছ যদি রোপণ করা যায়, তাহলে প্রকৃতি যেমন অপরূপভাবে সেজে উঠবে তেমনি অক্সিজেন পাব আমরা। আমাদের সবার উচিত আমাদের বাড়ির আঙিনায় বা খালি জায়গায় এ ধরনের গাছ রোপণ করা।’
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে একপাশে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণচূড়া ফুলের প্রেমে মজেছে ছোট বড় সকলেই। রোদের আলো পড়লেই জ্বল জ্বল করে উঠছে কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো। বিকেল নামলে দূর-দুরন্ত থেকে আসতে থাকে প্রকৃতি প্রেমীরা। কেউ কেউ বিকেলে কাটাতে আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে। আবার এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে গাড়ি থামিয়ে এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
ঘুরতে আসা মোহাম্মদ এরফান আলী ও মোহাম্মদ ইকবাল নামের দুই ব্যক্তি বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো অনেক সুন্দর। সবুজ পাতা আর লাল ফুল সৌন্দর্য ছড়িয়ে মুগ্ধ করছে সবাইকে। গাছ গুলো রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে অনেকেই দূর-দুরন্ত থেকে আসছে। অনেকে আবার মুগ্ধ হয়ে তুলছেন ছবিও।
কৃষ্ণচূড়া এক ধরনের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ; যার ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি এবং বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুন লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ।
আমাদের দেশে সাধারণত বসন্তের শেষের দিকে এ ফুল ফোটে। কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার আগে কলি দেখতে মোহরের মতো দেখায়, তাই হিন্দিতে এই ফুলকে বলা হয় গুলমোহর।