দিনমজুর আক্কাস আলী। ১০ বছর ধরে নওয়াপাড়া রেল বস্তিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ময়লা–আবর্জনার দুর্গন্ধে বাড়িতে টিকতে পারেন না। বেলাশেষে কাজ করে বাড়িতে এলে দুর্গন্ধে টেকা মুশকিল হয়ে পড়ে। তা ছাড়া প্রতিদিন এই পথ দিয়ে যেতে হলে নাকে কাপড় দিতে হয়। গন্ধে বাঁচা যায় না। বৃষ্টি হলে সেই ময়লা আবার পানির সঙ্গে সড়কে ছড়িয়ে পড়ে, তখনতো হাঁটা দায়।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার রেল স্টেশন এলাকার বাইপাস সড়কের চলাচল করেছেন অথচ রাস্তায় ময়লা আবর্জনার স্তূপ দেখেননি, এ রকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। রেল স্টেশন এলাকায় সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপের দুর্গন্ধের কারণে সড়কে চলাচলে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা, বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে রেল বিভাগের জায়গায়। নওয়াপাড়া রেল স্টেশনের পাশে পৌরসভার দুর্গন্ধ যুক্ত বিষাক্ত ময়লা ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার সব মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। এতে করে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী, বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী, এলাকাবাসী ও বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা নিদারুণ কষ্টে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে।
পথচারী আব্বাস মুন্সি বলেন, ‘রাস্তার পাশে প্রতিনিয়ত এই দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হয়। তীব্র, বিকট দুর্গন্ধে পেট ফুলে ওঠার উপক্রম হয়।’
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গৃহস্থালির বর্জ্য, মরা প্রাণী, বাজারের মুরগি বর্জ্য এখানে ফেলা হয়।
নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, ‘পৌরসভার বর্জ্য কোথাও না কোথাও তো ফেলতে হবে। যেখানেই ফেলি কিছু সমস্যা তো হবেই। যাই হোক পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সুবিধাজনক একটি জায়গা নির্ধারণ করা হবে। অতিসত্বর কাজ শুরু করব।’